ভারতীয় মেডিকেল ভিসার জন্য আবেদন করবেন যেভাবে

Indian-Medical-Visa

কয়েক দশক ধরেই ভারত দক্ষিণ এশীয় চিকিৎসা ব্যবস্থায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। হাজার হাজার মানুষ সেখানে চিকিৎসা নিতে যায়। এমনকি বাংলাদেশের প্রায় ৫০ ভাগেরও বেশি মেডিকেল ট্যুরিস্ট চিকিৎসার জন্য ভারতে ভ্রমণ করে থাকেন।২০১৭ সালে ২ লাখ ২১ হাজার ৭৫১ বাংলাদেশি নাগরিক চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন। বর্তমানে এই সংখ্যা আরও বেশি বলে জানাচ্ছে সংবাদ সংস্থা ইউএনবি।  

কিন্তু, অনেকেই জানেন না কীভাবে ভারতে মেডিকেল ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক আবেদনের প্রক্রিয়া। তাহলে ভবিষ্যতে অতিরিক্ত কোনো জটিলতা বা কোনো মধ্যস্থতাকারীর সহযোগিতা নেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।

ভারতীয় মেডিকেল ভিসা কী?   

মূলত এটি একটি বিশেষ ভিসা ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে আপনি প্রতিবেশী দেশ ভারতে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন। অথবা যাদের দরকার তারা চিকিৎসা সেবা নিতে ভারতে ভ্রমণ করতে পারবেন। সাধারণত ভারতীয় মেডিকেল ভিসার মেয়াদ ছয় মাস পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনবার ভারতে যাওয়া-আসা করতে পারবেন। তবে রোগীর প্রয়োজনে ভিসা রিনিউ করা যাবে।

তবে করোনাকালে এই ভিসা প্রদান ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে ছয় মাসের জায়গায় আপনি সর্বোচ্চ তিন মাসের ভিসা পাবেন। এ ছাড়া রোগীকে একাধিকবার যাওয়া-আসার সুযোগ কম দেওয়া হচ্ছে।

মেডিকেল ভিসা পেতে অবশ্যই আপনার কাছে ভারতীয় কোনো চিকিৎসকের অ্যাপয়নমেন্ট লেটার থাকতে হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশেও কোনো না কোনো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

আবেদন করার প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার নিয়মাবলি থাকছে আগের মতোই।আসুন এবার জেনে নিই কীভাবে আবেদন করতে হয়। আবেদনের জন্য আপনাকে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে।         

ধাপ ১ : অনলাইনে আবেদন

সর্বপ্রথমে আপনাকে অনলাইনে মেডিকেল ভিসার জন্য অনলাইনে আইভিএসিতে (IVAC) একটি আবেদন করতে হবে। আইভিএসি বিশ্বব্যাপী ভারতীয় ভিসা প্রসেস করে থাকে।

আবেদন ফরমে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফরমটি পূরণ করতে হবে। ভ্রমণের উদ্দেশ্যের কারণে আপনার দরকারি কাগজপত্র ভিন্ন হতে পারে।

ধাপ ২ : মেডিকেল ভিসার দরকারি কাগজপত্র

আপনাকে অতিরিক্ত কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এসব কাগজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ডাক্তারের সঙ্গে অ্যাপয়নমেন্ট লেটারের অনুলিপি, আপনার সব মেডিকেল হিস্টোরি, শারীরিক অবস্থার বিবরণ এবং বিভিন্ন টেস্টের রিপোর্ট।

ধাপ ৩ : ভিসার অন্যান্য সাধারণ কাগজপত্র

আইভিএসিতে জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে আরও কিছু ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে। উল্লেখযোগ্য ডকুমেন্টগুলো হচ্ছে-

–       পাসপোর্ট কপি (অন্তত ছয় মাসের জন্য ভ্যালিড হতে হবে)

–       জন্মনিবন্ধন কার্ড বা এনআইডি

–       এক কপি ইউটিলিটি বিল

–       ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা ডলার এনডোর্সমেন্ট (ন্যূনতম ১৫০ ইউএস ডলার, আর ব্যাংক স্টেটমেন্ট হলে ন্যূনতম ২০,০০০ টাকা)

–       পেশাদারিত্বের প্রমাণপত্র

আবেদনপত্রের সঙ্গে এসব ডকুমেন্ট একত্র করে প্রয়োজনীয় মেডিকেল ডকুমেন্টসহ আবেদন করতে হবে। ভিসা ফি জমা দেওয়ার জন্য আবেদনকারী মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডারের সহায়তা নিতে পারেন। ভিসা প্রক্রিয়াকরণের ফি বাংলাদেশি টাকায় 840 টাকা।

সবকিছু ঠিক থাকলে ভিসা অফিস থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে আবেদনকারীকে পরবর্তী ধাপের জন্য জানানো হবে।